আজ মৃদুল এর জন্মদিন।কিন্তু তাকে Wish করার মতো কেউ নেই।আজ সে একা বড়ই একা।।
.....একটা অচল ট্রেন এর বগিতে উঠে বসে আছে।।।আজ তার ভাবার মতো অনেক কিছু রয়েছে তাই হয়ত কিছু ভাবছে......হয়ত তার মূল্যহীন কাহিনী
প্রায় ৬ বৎসর আগের ঘটনা.....
....মৃদুল তখন দশম শ্রেনির ছাত্র....এই কদিন হলো নতুন ক্লাস। সামনে S.S.C তাই।।কোন এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হল সচরাচর সবার মত।।। ঠিক নিয়মিত কোচিংএ যেত পড়া শেষে চলে আসত এই পর্যন্ত কোন মেয়ের দিকে ফিরেও চায়নি।।।চাইবেই বা কেন বয়স আর কত হয়েছে।।।
তাছাড়াও মৃদুল খুবি শান্ত প্রকৃতির।।।কারো সাথে জরুরি ছারা কথা বলত না।।।।
ঠিক কিছু দিন পর একটি মেয়ে তারই মত সেখানে ভর্তি হল।।।কিন্তু এবারও বিপরীত হল না।।।।।মেয়েটাকে বেশি লক্ষ করলনা।।
এভাবে কিছু দিন গেল।।।
কিন্তু হঠাৎ একদিন বাসায় ফেরার সময়।।।পিছন থেকে মেয়েটার ডাক শুনল।।।তাকাতে ইতস্তত বোধ হলেও তাকাল।।।।
কিছু প্রয়োজনিয় বিষয় নিয়ে।।কিন্তু মৃদুল কাঁপা কাঁপা কন্ঠ নিয়ে কথা বলল
মৃদুল সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে নিলো।।।।।
মেয়েটার নাম জানার প্রয়জন বোধ করল না।।।।
।।।।
এভাবেই মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে কথা হত।।।
কিন্তু একসময় কখন যে মেয়েটি তার ভাল লেগে যায় তার খেয়াল নেই মৃদুল এর কিন্তু কিছু দিন পর সে সব বুঝতে পারল।।।
কিন্তু মৃদুল বয়স এর তাড়নায় প্রতারিত হতে চাইল না।।।সতর্ক হয়ে গেল।।।
কিন্তু কি করার এ মন মানে না।।।।শেষ পর্যন্ত সে মেয়েটির নাম জানার জন্য আকুল হয়ে উঠল।।
।।।
মেয়েটি আর মৃদুল একি এলাকায় থাকে।।।।।মনে মনে হাসে মৃদুল একি এলাকায় থাকে কিন্তু সামান্য নামটা জানে না।।।।।
একসময় সে মেয়েটির নাম জানতেও পারল.......
মেয়েটির নাম ছিল নীলা...
...
নীলাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল মৃদুল।।।তার চোখ গুলো কেমন কথা গুলো কেমন।।।এসব নিয়ে মনে মনেই প্রসংশা করতে লাগল।।।।এই প্রথম সে কোন মেয়েকে নিয়ে এতটা ভাবছে
একসময় মৃদুল নীলাকে মনে জায়গা দিয়ে ফেলে।।।।
এতদিন পর Unsmart ছেলেটা কার জন্য Smart হওয়া শিখল।।।
এক সময় তারা কলেজে উঠল।।
।কলেজ ভিন্ন হলেও তারা একি কোচিং সেন্টার এ পড়াশুনা করত।।।
এদিকে মৃদুল এর বড় ভাই ছিল সে ওর ব্যপার টা জেনে ফেলে।।।কিন্তু ভাই বলে কথা তাই চুপ থাকে।।।এ নিয়ে মৃদুল এর বড় ভাই অর সাথে মজাও করে।।।
এদিকে মৃদুল এর বড় ভাই নীলা কে চেনে।।।
কিন্তু মৃদুল এর করুন অবস্থা সে নীলা কে তার মনের কথা বলার জন্য অনেক চেস্টা করত।।।।কিন্তু অসাহসী মন তার পারত না।।।
সে প্রতি দিন নীলার জন্য এক তোড়া গোলাপ ফুল নিয়ে যেত কিন্তু তাকে দিতে পারত না।।
আজ নয়ত কাল এভাবে দিন পার হতে থাকল কিন্তু তার মনের কথা আর বলা হত না।
।।কিন্তু পরিনতি....একসময় নীলা।।ওই কোচিং সেন্টার থেকে চলে যায়।।।
নীলার বাসা চেনার পরও ওর সাহস হতো না।।
কিন্তু এক সময় নীলার পরিবার সে বাসা ছেড়ে চলে যায় অন্যত্র।।
কিন্তু মৃদুল এর মনের কথা আর বলা হয়ে উঠে না।
।।।ও পাগল এর মত নীলা কে খুজে।
।।।।
কিন্তু মৃদুল বুঝতে পারে আর না।।।।।।
তাই ভার্সিটিতে ওঠার আগেই মৃদুল লন্ডন চলে যায় পড়ালেখার নামে কিন্ত ওর মনের খবর ও ভাল জানে।।
প্রচন্ড ভালবাসত ও নীলাকে তাই হয়ত কস্ট ভোলার জন্য.............
আজ ৩ বৎসর পর মৃদুল দেশে ফিরছে।।।তার বড় ভাই এর Marrage বলে কথা।আসতে তো হবেই।।।
সবাই খুশি।।।
বলতে গেলে খুব বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে মৃদুল কে।।। তাই তার মনটাও ভাল নেই।।।।
এদিকে তার বড় ভাই তার হবু স্ত্রীর ছবি মৃদুল কে দেখানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে।।
কিন্তু মৃদুল এর তাতে আগ্রহ নেই।
...রাত প্রায় ৮টা বাজে।।।।মৃদুল তাদের বাড়ীর বারান্দায় বসে আছে।।।।কিছু ভাবছে......
হঠাৎ তার ভাই কোথা থেকে এসে তাকে ধরে বলল.....
এই চল তোকে ওর ছবি দেখাব।।।
প্রায় বিরক্ত হয়ে মৃদুল বলল কার ছবি?আমি কারো ছবি দেখব না।।।।
কিন্তু ওর। ভাইও নাচ্ছর মৃদুল কে টেনে নিয়ে গেল ঘরে।।।কয়েকটা ছবি বের করে ওকে দিল বলল দেখ নীলার চেয়ে আরো বেশি সুন্দর....
মৃদুল রেগে গিয়ে ছবি গুলো টেবিল এর উপর রেখে দিল
।।।।তার ভাই তাকে ছবি দেখতে বলে।।।অন্য রুমে কাজে চলে গেল.....
খুবি বিরক্ত লাগছে মৃদুল এর।।।।
সে ওই ঘরেই বসে আছে
।।।।।।।তার রাগ টা আরেকটু বেড়ে গেল কারণ তার ভাই বলল এই ছবির মেয়েটা নাকি নীলার থেকেও বেশি সুন্দর।।।।।।
পুরনো স্রিতিতে ফিরে গেল মৃদুল।।।।
...সেই নীলার স্রিতিতে।।।
তাই নীলার সৌন্দর্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রায় রেগেই ছবি গুলো হাতে নিলো মৃদুল.......
তার মধ্যে একটি ছবি নিয়ে।।।
আস্তে আস্তে ছবি টা উল্টালো মৃদুল.......
ছবি টা দেখা মাত্রই যেন মৃদুল এর বুকে পুরো আকাশ টা ভেঙে পড়ল।।।।।
একি এত নীলার ছবি.....এটা কি করে সম্ভব.
কিছুখনের জন্য মৃদুল ওর চোখকে বিস্বাস করতে পারছিল না.........
কস্টে যেন বুঁকটা ফেঁটে যাচ্ছিল।।।।।
এর পর আর এক মুহুর্তও মৃদুল বাড়ীতে থাকেনি।।।।।।
সোজা বেরিয়ে পরেছে রাস্তায়.
সব কিছু যেন সপ্ন মনে হচ্ছে।।।কি হল এটা......
এটাই কি হওয়ার ছিল।।।।নিজেকে এ অবস্থায় দেখে ওর করুণা হচ্ছে।।।..
গত কাল রাত থেকে ও বাসায় নেই।।।।
ও জানেও না কেউ চিন্তা করছে কিনা ওর জন্য।।।।
খুব ভাল একটি উপহার পেয়েছে ও ওর জন্মদিনে......
আজ ওর কার প্রতি কোন রাগ নেই।।।।।কিন্রু রাগ হচ্ছে ওর নিজের প্রতি।।।।
হয়ত এটাই শেষ ছিল.......
আজ হয়ত মৃদুল এর ভালবাসা অসমাপ্ত থেকে গেল কিন্তু মৃদুল এর জায়গায় একটি বার হলেও নিজেকে উপলব্ধি করবেন।।।।
কারণ মনকে জোরা লাগানো যায় না।।।।।
এসব গল্পের কল্পনাতেই জায়গা হওয়া উচিত বাস্তবে নয়..........